পিএনএএস (PNAS) জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, এই ঔষধ তিনটি ভিন্ন ধরনের পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করবে, যা অতীতে হয়নি।
ভ্যানকোমাইসিনের নতন সংস্করণটি অবশ্য মানুষ ও পশুপাখির ওপর এখনো প্রয়োগ করা হয়নি।
বিজ্ঞানীরা জানান-“চিকিৎসাক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের একেবারে শেষের দিকে এসে পৌঁছেছি আমরা। এখনই অনেক জীবাণুর প্রতিরোধ বা চিকিৎসা আর প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সম্ভব হচ্ছে না। যেমন, ভ্যানকোমাইসিন(Vancomycin) প্রতিরোধক ইন্টারোকোক্কি বা ভিআরই(Enterococci or VRE)। ভ্যানকোমাইসিন এখন আর ভিআরই-র বিরুদ্ধে আগের মতো কার্যকর নয়। ”
এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন হাসপাতালে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এর কারণে রোগীদের পঙ্গুতা এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। তাই WHO অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ-প্রতিরোধী এ সকল ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে ‘মানব স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোচ্চ হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
খুব অল্প সংখ্যক ভ্যানকোমাইছিন আছে যারা VRE-এর বিরুদ্ধে কাজ করে। বেশিরভাগ ভ্যানকোমাইসিন ৬০ বছরের অধিক পুরোনো এবং VRE-এর বিরুদ্ধেও আর কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে না। স্ক্রিপ্স দল ভ্যানকোমাইসিনকে তাই নতুন করে, আরও শক্তিশালী করে তৈরি করেছেন। এ-কারণে এই নতুন ঔষধটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ-প্রাচীর কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে পারবে। সেইসঙ্গে নতুন ঔষধটির স্থায়িত্বও বাড়ানো হয়েছে।
প্রধান গবেষক ড. ডেল বোগার জানান-“আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের আণবিক গঠনে (মলিকিউলার চেঞ্জ) পরিবর্তন আনতে পেরেছি। এর মধ্য দিয়ে দুইটি নতুন অ্যাকশন অতিরিক্ত যোগ হয়েছে। তাই এখন তিনটি আলাদা পদ্ধতিতে এ ঔষধ কাজ করবে। এক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি ফেল করলে বাকি দুইটি পদ্ধতি দিয়ে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ধ্বংস করা সম্ভব হবে। যা আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক হবে। ”
তিনি আরও জানান- “নয়া আবিষ্কৃত এ ঔষধ ল্যাবে প্রায় ৫০ রাউন্ড ব্যাকটেরিয়া VRE ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। ”
অণুজীববিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ (মাইক্রোবায়োলজিস্ট) প্রফেসর নাইজেল ব্রাউন বলেন-“এই আবিষ্কারটা জরুরিছিল। কেননা ভ্যানকোমাইসিন হচ্ছে বর্তমানে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের সর্বশেষ পর্যায়। ”
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এমএ/জেএম