ঢাকা: দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৮৮ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে সীসাজনিত দূষণের শিকার। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস কাবে এক সেমিনারে এ ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরা হয়।
‘সীসাযুক্ত রঙ এর ব্যবহার ব্যাপকতা: মারাত্মক ঝুঁকি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) ও বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি।
সেমিনারে এসডো পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, দেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭৭ হাজার ২২০ মেট্রিকটন শোভাবর্ধনকারী রঙ উৎপাদিত হয়। এর প্রায় ৯৮ ভাগ রঙ-এ সীসার পরিমাণ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বহুগুণ বেশি। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮৮ ভাগ মানুষ কোন না কোনভাবে সীসাজনিত দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পরে বিশেষজ্ঞরা এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
রসায়ন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক. এম মুহিবুর রহমান বলেন, “শিশু এবং বয়স্করা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। শিশুদের বাড়ন্ত শরীর সহজে সীসা গ্রহণ করে, সীসাজনিত দূষণের কারণে শিশুদের শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় না, আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়, শুনতে সমস্যা হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে প্রজনন সমস্যা দেখা দেয়। ”
এ কারণে সীসাযুক্ত রঙ-এর উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক তিকর সীসাযুক্ত রঙ এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকার স্বাধীনতার পর এ দীর্ঘসময়েও কোন পদপে নেয়নি। যদিও উন্নত দেশগুলো অনেক আগেই এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ”
তিনি দেরি না করে এ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে এসডোর মহাপরিচালক ও প্রধান গবেষক ড. হোসেন শাহরিয়ার, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. জাফর মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১০
আরএস/কেএল