অনেকে স্ব-ইচ্ছায় হাসপাতাল ত্যাগ করছেন, আবার অনেককে চিকিৎসকের পক্ষ থেকেই ছুটি দেওয়া হচ্ছে। তবে রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক ও নার্স ঈদের ছুটিতে দায়িত্ব পালন করবে বলে নিশ্চিত করেছেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মূলত স্বাভাবিক নিয়মে চিকিৎসক যে রোগীকে সুস্থ মনে করেন তার নাম কেটে দেন। এটাই নিয়ম। তবে ঈদের আগে মোটামুটি সুস্থ রোগীরাও হাসপাতালে থাকতে চান না, তাই তারা নিজেরাই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহা ও মুসলমানদের জন্য বড় ধর্মীয় উৎসব। তবে ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে এবার রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক ও নার্সের কোনো সংকট থাকবে না বলেও জানান তিনি।
এবারের ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী ঈদের আগে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) হাসপাতালের বহিঃবিভাগ খোলা ছিলো এবং ছুটি শেষে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) আবারো বহিঃবিভাগের কার্যক্রম চালু থাকবে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হাসাপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেড়’শ জনের ওপরে চিকিৎসক রয়েছেন। যাদের মধ্য দিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঈদের ডিউটি রোস্টারে ১শ’ জন দায়িত্ব পালন করবেন। আর হাসপাতালের মোট ৭২৮ জন সেবিকার মধ্যে ২৭৪ জন রয়েছেন হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী। এদের সঙ্গে আরো যোগ করে প্রায় ৪শ’ নার্সকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। একইভাবে তৃতীয় ও চুতুর্থ শ্রেণীর স্টাফদেরও দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আশাকরি কোনো সমস্যা তো হবেই না বরং রোগীর চেয়ে সেবাদানকারীদের গড় সংখ্যা বেশি থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৭
এমএস/জিপি