তিনি বলেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও মুক্তামনির খোঁজ-খবর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি খুবই বিস্ময়কর।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে শিশু মুক্তামনিকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে, মুক্তামনির হাতের সব টিউমার অপারেশন করা হয়েছে। আমাদের দক্ষ চিকিৎসকরা শুধু মক্তামনি নয়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কোমরে জোড়া লাগা শিশু তোফা-তহুরা, বিরল রোগে আক্রান্ত 'ট্রি-ম্যান' আবুল বাজনাদারসহ অনেক রোগীর চিকিৎসা করেছেন। চিকিৎসা করে সুস্থভাবে জীবন-যাপনের জন্য তাদেরকে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের দক্ষ তরুণ চিকিৎসকসহ সব চিকিৎসককে ধন্যবাদ জানাই’।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনসহ বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ও মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে বলেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মুক্তামনির সব টিউমার কেটে ফেলা হয়েছে। সুস্থ হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে। আরও ৩/৪টি অস্ত্রোপচার লাগতে পারে মুক্তামনির।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতির ১১ বছরের মেয়ে মুক্তামনির ডান হাতের রক্তনালীতে ৫ কেজিরও বেশি টিউমার ছিল, যে রোগটিকে ‘হেমানজিওমা’ বলা হয়। গত ১২ ও ২৯ আগস্ট এবং মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) তিনদফা অস্ত্রোপচার করে তার শরীরের সমস্ত টিউমার অপসারণ করেছেন চিকিৎসকরা। কেটে ফেলার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সফল অস্ত্রোপচারে ডান হাতটি রক্ষা করতেও পেরেছেন।
অথচ ভিডিওতে মুক্তামনিকে ও তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে এবং ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বোর্ড মিটিং করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা পর্যন্ত জানিয়েছিলেন যে, ‘রোগটি ভালো হওয়ার নয় ও সেটি অস্ত্রোপচার করার মতোও নয়’।
গত ১১ জুলাই থেকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
এজেডএস/ওএইচ/এএসআর