তাই রোগীর তথ্য সংরক্ষণে হেলথ্ কেয়ার ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেড নিয়ে এসেছে ‘ডাক্তার ভাই’ নামে একটি অ্যাপস। গুগল প্লেস্টোরে গিয়ে ‘daktar bhai’ লিখলেই অ্যাপসটি চলে আসবে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় তিন দিনব্যাপী ‘পঞ্চম শোকেস মালয়েশিয়া ২০১৭’ প্রদর্শনীতে কথা হয় ‘ডাক্তার ভাই’ অ্যাপসের স্টলে নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএমসিসিআই) প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। প্রদর্শনীটি শেষ হবে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর)।
এবারের ‘শোকেস মালয়েশিয়া-২০১৭’ প্রদর্শনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং, বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি, ট্যুরিজম, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান, পণ্য রপ্তানি ও প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কোম্পানির মোট ৬০টি স্টল রয়েছে।
‘ডাক্তার ভাই’ অ্যাপসটি সম্পর্কে হেলথ্ কেয়ার ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেডের সার্ভিস অ্যান্ড সাপোর্ট ম্যানেজার মো. নাজমুল আলম সান বাংলানিউজকে বলেন, অ্যাপসটির কার্যক্রমের সময় প্রায় দুই বছর। বর্তমানে অ্যাপসটির গ্রাহক সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। অ্যাপসটিতে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য আজীবন সংরক্ষণ করা যাবে। পাশাপাশি অ্যাপসটির গ্রাহকরা দেশের নামকরা ৪শ’র বেশি হাসপাতালে বিভিন্ন টেস্ট ও সেবায় ২০ শতাংশের বেশি সুবিধা ভোগ করে থাকেন। এমনকি ডাক্তারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেও বুকিং নিতে পারবেন এ অ্যাপসের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, অ্যাপসটিতে যেকোনো শারীরিক সমস্যা অর্ন্তভুক্ত করে রাখা যাবে। ফলে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারকে আপনার আগের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করতে পারবেন এবং দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। এতে একদিকে যেমন সময় কম নষ্ট হচ্ছে তেমনি ডাক্তারও সঠিক রোগটি নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন। এতো সুযোগ-সুবিধার পরও অ্যাপসটি ব্যবহারে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে হেলথ্ কেয়ার ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এম হারুনর রশীদ বলেন, অ্যাপসটির মাধ্যমে শরীরের যেকোনো সমস্যা তারিখ অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করে রাখা যাবে। এতে করে দেশ-বিদেশের যেকোনো স্থান থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে সুবিধা হবে। অপরদিকে চিকিৎসক যদি অবগত থাকেন এর আগে রোগীর কি সমস্যা হয়েছিলো তাহলে সহজে সেবা দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থাপনা নেই। একটি প্রতিষ্ঠানের সবকিছু রেকর্ড থাকলেও সেই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীর স্বাস্থ্য রেকর্ড নেই। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য তথ্য রেকর্ড থাকবে। তাহলে একজন নাগরিকের যেকোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে। এজন্য সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২,২০১৭
এসজে/জেডএস