অসুস্থ হাফিজুর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বসিনটারী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় ব্র্যাক শিশু নিকেতনে প্লে শ্রেণীর ছাত্র।
হাফিজুরের বাবা রবিউল বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ২০ দিন আগে বাম পায়ের গোড়ালিতে একটা ফোঁড়া দেখা দেয়। পরদিন তা ফেঁটে গিয়ে পা ফুলে যায়। এরপর এক পায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে স্কুল যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে ডান পাও ভেঙে যায় হাফিজুরের। একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে রিকশাটি বিক্রি করে ছেলেকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন রবিউল। কয়েক দিনের চিকিৎসায় রিকশা বিক্রির টাকাও শেষ হয়ে যায়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য হাফিজুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন রবিউল। এরপর প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় হাফিজুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অর্থোপেডিকস্ শিশু বিভাগের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন হাফিজুর।
চিকিৎসকরা জানান, হাফিজুরের পা বাঁচাতে হলে দ্রুত ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিতে হবে। দেরি হলে তাকে বাঁচানো অসম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাফিজুরকে আবারও স্কুল পাঠাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তার বাবা রবিউল।
হাফিজুরকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে প্রতিবেশী মন্টু বকসী: ০১৭৬৫০৫৭৪৮৯ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
আরআর