চিকিৎসার জন্য পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে রোগী তানভীরকে (২০) নিয়ে ঢামেকে এসেছেন তার বোন শিল্পী। কিন্তু রোগী ও রোগীর স্বজনদের এমন উপচেপড়া ভিড় দেখে রীতিমতো হতবাক তিনি।
শিল্পীর নিজের ভাষায়, এর আগেও অনেক বার ঢামেকে এসেছি নিজে। কখনো রোগী হয়ে, কখনো আবার অসুস্থ আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে। কিন্তু আগে কখনোই টিকেট কাউন্টারে এত ভিড় দেখিনি।
জরুরি বিভাগের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্ব পালনরত মাইজ বিন সুলতান জানান, তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল কাউন্টার। খুলে দেওয়ার সাথে সাথে রোগী ও রোগীর স্বজনদের হিড়িক পড়ে যায় টিকেট নেওয়ার জন্য।
তিনি জানান, তিনি সহ মোট ৪জন মিলে রোগীর স্বজনদের টিকেট দিচ্ছেন। কিন্তু টিকেট প্রত্যাশীদের চাপ অবিশ্বাস্য রকমের বেশি। টিকেট দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না।
জরুরি বিভাগের টিকেট কাউন্টার গিয়ে অস্বাভাবিক ভিড় দেখা গেল। কেউ জানালার গ্রিলের উপর দাঁড়িয়ে, কেউ বা টিকেটের জন্য চিৎকার করে কর্মীদের মনোযোগ আকর্ষণ করছেন। টিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে সবাই রীতিমান পেরেশান। কর্মীরাও এতো মানুষকে টিকেট দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, দুপুরের দিকে ঢামেকে নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় হৃদরোগ বিভাগে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার স্বজন ও বহিরাগতরা দায়িত্বরত চিকিৎসকদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে জরুরি বিভাগে তিন ঘন্টা চিকিৎসা-সেবা বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এজেডএস/জেএম