মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবার) দুপুরে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মওলা বকস চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদফতর ঢাকার সহযোগিতায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর ডেপুটি চিফ মো. আব্দুল আজিজ, দিনাজপুর পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. গোপিনাথ বসাক, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক স্টিফেন মুর্মু, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাউদুদুল হাসান।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম লাইজু, মাস্তুরা বেগম পুতুল, কাশী কুমার দাস ঝন্টু প্রমুখ।
সভায় ১৩ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে জনসম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাজজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সেরে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে।
এডিস মশার বংশ বাড়ার রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা যায়। প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এ ব্যাপারে আমাদের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এএটি