বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফল-মূল ও সবজি স্বাভাবিকের তুলনায় জুস করে খেলে তা অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া জুসে ফল ও সবজির প্রায় সব পুষ্টিগুণ অক্ষত থাকে।
জুস খাওয়ার আরেকটি একটি সুবিধাজনক ব্যাপার হলো, এতে প্রয়োজন মতো পুষ্টি উপাদান সংযুক্ত করা যায়। পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী পছন্দমতো ফল-মূল ও সবজি সংযুক্ত করে এর ভিটামিন, মিনারেল ও সুগার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এখন প্রশ্ন হলো, কোনটি অধিক পুষ্টিকর? ফলের জুস, নাকি সবজির জুস?
এক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, এক গ্লাস জুসে ৯০ শতাংশ সবজি ও ১০ শতাংশ ফল ব্যবহারই সবচেয়ে আদর্শ।
কিছু কিছু ফলের মধ্যে উচ্চমাত্রায় প্রাকৃতিক সুগার বিদ্যমান। এসব ফলের জুস খেলে আকস্মিকভাবে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সকাল বেলা ফলের জুস খেতে বারণ করেন অনেক চিকিৎসক।
ফলে প্রোটিনের পরিমাণ খুব কম। তাই ক্ষুধা নিরাময়ে শুধু ফলের জুস খুব একটা কাজে দেয় না। তাছাড়া একটি ফলে কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন বেশি মাত্রায় থাকে। অন্য পুষ্টি উপাদানগুলো পেতে হলে জুসে কয়েক ধরনের ফল ও সবজি যোগ করা উচিত।
অপরদিকে, সবজির জুস বৈচিত্র্যময় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এক বেলার খাবারের বিকল্প হিসেবেও এটি যথেষ্ট কার্যকরী। যারা দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে সবজি খেতে পছন্দ করেন না, তাদের সারাদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম এক গ্লাস গাজর, বাঁধাকপি বা স্পিনাচের জুস।
আর সবজির জুসকে সুস্বাদু করে তুলবে প্রাকৃতিক সুগার যুক্ত একখণ্ড ফল। তাই একখণ্ড ফল মিশ্রিত সবজির জুসের পক্ষেই বিশেষজ্ঞদের মতামত।
জুসে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য এতে দুধ, দই, বাদাম ইত্যাদি মেশানো যেতে পারে। এতে আপনার খাদ্যতালিকা হয়ে উঠবে পূর্ণমাত্রায় শক্তিবর্ধক।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ