বাংলানিউজের সাথে এমনটাই বলছিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমজাদুল হক।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, চলছে ফুলের বাগান সাজানোর কাজ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারপাশের জঙ্গল কেটে করা হয়েছে পরিষ্কার। পুরো হাসপাতালটির চারপাশে লাগানো হয়েছে ফুলের চারা। আরো আনা হয়েছে প্রায় সাতশত ফুলের গাছ। পর্যায়ক্রমে বাগানের চার পাশে এসএস পাইপ দিয়ে ঘেরা ও টাইলস লাগানো হবে বলেও জানান তিনি।
আমজাদুল হক ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকার মো: সাখাওয়াত হোসেনের সন্তান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ১৯৯০ সালে ধানমন্ডি বয়েজ স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ১৯৯২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০০১ সালে এমবিবিএস পাশ করেন।
এরপর ২৫তম বিসিএস পাশ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এরপর সময়ের পরিক্রমায় পদোন্নতি পেয়ে গত ৩০ অক্টোবর ২০১৬ সালে সাভারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
নিজের দায়িত্বের পাশাপাশি কাজ করে চলেছেন পরিবেশ উন্নয়নে। পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে আনা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়। নিরাপদ পানির জন্য বসানো হয়েছে গভীর নলকূপ ও বিশুদ্ধ পানির জন্য ফিল্টার। চালু করা হয়েছে শতভাগ অনলাইন রির্পোটিং সিস্টেম। প্রতিষ্ঠানটিকে ঘোষণা করেছেন দুর্নীতি মুক্ত। জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে দেয়ালে দেয়ালে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন সেবা সম্পর্কিত তথ্য চার্ট।
বর্তমানে আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ রোগী আসেন এখানে বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য রয়েছেন ১১ জন মেডিকেল অফিসার, ১১ জন কনসালট্যান্ট, রয়েছেন ২২ জন নার্স।
আমজাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আমার সন্তানের মতো, তাই তাকে সেভাবেই যত্ন করতে হবে। মুখে বড় বড় কথা না বলে নিজেদেরকে ভালো কাজে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ যাতে সুষ্ঠু ও সঠিক সেবাটা পেতে পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে।
‘তাই চেষ্টা করি প্রতিদিনই একটি হলেও পরিবর্তন করবো, তা দৃশ্যমান হোক আর অদৃশ্যমান। -সে লক্ষ্যেই আমার এগিয়ে যাওয়া।
এরই ফলশ্রুতিতে সর্বাধিক প্রসুতি মাকে সেবা প্রদান করায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার হাতে তুলে দিয়েছেন সম্মাননা ক্রেস্ট। সেই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এবার র্যাংকিং এ প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে।
সাভার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকা হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এখানে নেই জিএ মেশিন। কিন্তু হাসপাতালটি ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট হওয়ায় অনেক সময়ই গুরুতর অনেক রেগীকে সেবা নিয়ে বেগ পেতে হয়। তাই হাসপাতালটিকে দ্রুত ১০০ শষ্যায় উন্নীত করাসহ জনসংখ্যা অনুপাতে সঠিক বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
জেডএম/