তিনি কর্নেল (অব.) নাজনীন খান রোজী। মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম বীরপ্রতিকের পর কিশোরগঞ্জের অগ্রগণ্য নারী চিকিৎসক।
কিশোরগঞ্জের ঈশা খান রোডস্থ অ্যাডভোকেট মুজির উদ্দিন খান ও শিক্ষয়েত্রী মা সুফিয়া আক্তারের কন্যা। তিনি কিশোরগঞ্জের এসভি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এবং গুরুদয়াল কলেজের পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং তদানিন্তন আইপিজিএমআর (PG ) থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সেনানিবাসসহ সাবেক বিডিআর এর সদর দপ্তরে গুরুত্ত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। সেবা কর্মে দক্ষতার জন্য তিনি সেনাবাহিনী ও বিডিআর এর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সামরিক খেতাব ও ক্রেস্ট অর্জন করেন। এছাড়া সামরিক মিশন থেকে কুয়েত এবং ভারত সফর করেন। পারিবরিক জীবনে কর্নেল (অব.) মিজানুর রহমানে সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এই কর্নেল যুগলের এক মাত্র পুত্র সদ্য ৠাংক প্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাইলট আফিসার। |
শিল্প, সাহিত্য ও নন্দনকলায় তিনি বিশিষ্ট অবদান রেখেছেন। অবসর গ্রহণের পর এলাকায় একটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি। তার সেবা কার্যক্রমের মূল ফোকাসে থাকবে প্রসূতি ও শিশুরা।
কর্নেল (অব.) নাজনীন খান রোজী বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের জন্য কাজ করার মাধ্যমেই ব্যক্তিজীবন সফল ও সার্থক হতে পারে। পেশাজীবনে এ লক্ষ্যে কাজ করে আমি অবসর জীবনেও জনসেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই।
কিশোরগঞ্জে ফাউন্ডেশন স্থাপন করে শিশু ও নারী স্বাস্থ্যসেবার প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক দিক থেকে আমি প্রচুর সাহায্য পাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এমপি/জেডএম