ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘২০৩০ সালের মধ্যে এইডস্‌ নির্মূল’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
‘২০৩০ সালের মধ্যে এইডস্‌ নির্মূল’ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এইডসের ঝুঁকি বাংলাদেশে সবচেয়ে কম। ২০৩০ সালের মধ্যে রোগটি এ দেশ থেকে নির্মূল করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বিশ্ব এইডস্‌ দিবস-২০১৭ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে দিবসটির বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

তিনি জানান, বিশেষ কারণে এবার ০১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস্‌ দিবস পালন করা যায়নি। আগামী বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে  দিবসটি পালিত হবে। এবারের শ্লোগান- ‘স্বাস্থ্য আমার অধিকার’।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বাংলাদেশে এইডস্‌ সংক্রমণের হার ০.০১ শতাংশের নিচে। এ রোগে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ১ শতাংশের মতো। দেশে সম্ভাব্য এইডস্‌ আক্রান্ত ১১ হাজার ৭০০ জন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৬ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা গেছে। ৬৩৯ জন পুরুষ, ২১৩ নারী,  ১৩ জন হিজরা এবং ৬৩ জন রোহিঙ্গা নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন’।

‘এর সংক্রমণ ঢাকার কিছু অঞ্চলে বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে আছে। এই রোগীরা শিরার মাধ্যমে মাদক নিয়ে একে অন্যের মধ্যে রোগটি ছড়াচ্ছেন’।

কিছু রোহিঙ্গার শরীরে এইডস্‌ পাওয়া গেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,  ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবারের আলোচনা সভায় নতুন রোগীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার মস্কোয় গত ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর ‘যক্ষ্মা নির্মূলে করণীয়’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলে আন্তঃদেশীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ’।

‘রাশিয়ায় মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।

এতেই প্রমাণ করে, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে’।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ কূটনীতিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। অচিরেই তাদের ফেরত পাঠানো যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসচিব মো. সিরাজুল হক খান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফয়েজ আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
কেজেড/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।