ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

জামালপুরে ২৭৮ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, দুর্ভোগে রোগী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
জামালপুরে ২৭৮ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, দুর্ভোগে রোগী বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক

জামালপুর: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপিরা) আন্দোলন করায় টানা ১১দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বহুল আলোচিত কমিউনিটি ক্লিনিক।

এতে ভেঙে পড়েছে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ঠাণ্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় সেবা পেতে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নানা বেসরকারি ক্লিনিকে ছুটছেন।
 
২০ জানুযারি থেকে জামালপুরের ২৭৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে বলে জামালপুরের সিভিল সার্জনের অফিস সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জের চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা বিনোদেরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু কালাম জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে। আমার ছেলের জ্বর হয়েছিল চিকিৎসা না পাওয়ায় এখন নিউমনিয়া  হয়ে গেছে। সে কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি ছেলের চিকিৎসা করাতে।
ষাটোর্ধ আমেনা বেগম বলেন, ঠাণ্ডা জ্বরে ভুগছি, ক্লিনিক খোলা থাকলে ৪০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে উপজেলা শহরে আসতে হত না।

কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি ইকবাল মাহামুদ মোবাইলে বলেন, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে জামালপুরের সিএইচসিপিরা এখন ঢাকায় অবস্থান করায় সব কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ রয়েছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরব না।

তালা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকইকবাল মাহামুদ আরও জানান, এর আগে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ রেখে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেন সিএইচসিপিরা।
২৩ ও ২৪ তারিখেও কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে জামালপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। ২৭ তারিখ থেকে অদ্যবধি জামালপুরের সিএইচসিপিরা ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্য সেবায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বিষয়টি স্বীকার করে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. গৌতম রায় বাংলানিউজকে জানান, ভোগান্তি লাঘবে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সব চিকিৎসকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক শহিদুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টা কামাল সরকার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটে সাংবাদিক সম্মেলনে চাকরি জাতীয়করণের জন্য কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা ও জেলাতে অবস্থান কর্মসূচি শেষে ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সিএইচসিপিরা। এরপরেও যদি দাবি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাবে সারাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডাররা।        

বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।