ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দালালমুক্ত করতে পদক্ষেপ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
দালালমুক্ত করতে পদক্ষেপ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের

হবিগঞ্জ: দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে। অবশেষে দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙতে তালিকা তৈরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও এর আগে কয়েকবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে বরাবরই হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসকেই দায়ী করে আসছে নাগরিক সমাজ। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছিলেন বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল প্রকৃতির লোকজন।

দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেক রোগীর প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের পৃষ্ঠপোষকতায় সক্রিয় ছিলো এ দালাল চক্র।  

২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় দালাল নির্মূলে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে এ কমিটির কার্যক্রম। অবশেষে তিন মাস পর প্রকাশ করা হলো ২৮ দালালের তালিকা।  

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তালিকা তৈরির বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিঠুন দাশ বলেন, এ তালিকা হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, পুলিশ সুপার ও সদর মডেল থানায় পাঠানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।  

দালাল নির্মূল উপ-কমিটির সভাপতি ডা. মিঠুন রায় স্বাক্ষরিত তালিকা অনুযায়ী দালালরা হলেন- সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামের ইউনুছ মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার সেলিম মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার শাহিন মিয়া, একই উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের অসিত দাস, হবিগঞ্জ শহরের শংকরের মুখ এলাকার সজল দাস, সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের নুরুল মিয়া, লাখাই উপজেলার বুল্লা গ্রামের সাদিকুন্নেছা, হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার ছায়া বেগম, ছোট বহুলা গ্রামের রেজিনা বেগম, ইনাতাবাদ এলাকার সিরাজ মিয়া, বড় বহুলা গ্রামের জাফর মিয়া, চুনারুঘাট উপজেলার মাসুক মিয়া, মির্জাপুর গ্রামের শাহিন মিয়া, অনন্তপুর আবাসিক এলাকার আব্দুস সালাম, একই এলাকার আব্দুল মালেক, বানিয়াচং উপজেলার হিয়াল গ্রামের সেলিম মিয়া, অনন্তপুর এলাকার আব্দুল খালেক, অসিত, উত্তর সাঙ্গর গ্রামের সুজন, একই গ্রামের চয়ন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মাছুম, লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের হাছান, চুনারুঘাট উপজেলার রেহেনা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার যাত্রাবড়বাড়ী এলাকার টেনু মিয়া, বানিয়াচংয়ের মিজান, চুনারুঘাটের মাসুক ও শহরের রাজনগর এলাকার দীনুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতীন্দ্র চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে বলেন, তালিকাটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। শিগগিরই এ হাসপাতাল দালালমুক্ত করা হবে।  

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বাংলানিউজকে বলেন, তালিকাটি এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছেনি। তালিকা পাওয়ার পর এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
টিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।