ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাস ধরে বিকল রামেকের সিটিস্ক্যান মেশিন, ভোগান্তিতে রোগী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
মাস ধরে বিকল রামেকের সিটিস্ক্যান মেশিন, ভোগান্তিতে রোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন, যা গত প্রায় একমাস ধরে বিকল

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। গত ২৫ দিন ধরে মেশিনটি নষ্ট থাকায় রোগীদের বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরের রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে সিটিস্ক্যান করাতে হচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগসহ আশপাশের জেলার অসংখ্য রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন এই হাসপাতালে। কিন্তু মেশিনটি নষ্ট থাকার কারণে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে।

এজন্য তাদের বেশি অর্থ ব্যয় এবং ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মেশিনটি কবে নাগাদ চালু হবে, হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রামেক হাসপাতালের অত্যাধুনিক সিটিস্ক্যান মেশিনটি প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে সংযোজন করা হয়।  

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রোগ নির্ণয় করা হতো। দীর্ঘদিন ধরেই এটি নড়বড়ে অবস্থায় ছিলো। মাঝেমধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেশিনটি বন্ধ হয়ে যেতো। গত ২২ জানুয়ারি এটি নষ্ট হওয়ার পর ফের সচল করা হয়নি। মেশিন দু’টি বিকল হওয়ায় রোগীসহ তাদের স্বজনদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি টাকা। একই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগ। মুমূর্ষু রোগী নিয়ে বাইরের ক্লিনিক ও হাসপাতালে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্বজনরাও।

রাজশাহী মহানগরীর কাজলা এলাকার অধিবাসী আতাউর রহমান নিউরোমেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ায় চিকিৎসক সিটিস্ক্যান করাতে বলেন।

এনামুলের ছেলে মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তিনি দিনমজুরের কাজ করেন। প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চলে। হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করাতে খরচ হয় দুই হাজার টাকা। কিন্তু বাইরে করাতে গেলে গুনতে হচ্ছে তিন থেকে চার হাজার টাকা। এতো টাকা এখন কোথায় পাবো?

জানতে চাইলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘যন্ত্রটি দ্রুত সচল করার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল বিকল যন্ত্রটি পরিদর্শন করে গেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে যন্ত্রটি সচল হবে’।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।