শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিসিএস উত্তীর্ণ প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসকের উপস্থিতিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, চিকিৎসক সংকট মোকাবেলার জন্য ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তারা আরো জানান, মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর পিএসসি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৪ হাজার ৫০০ জন এবং অতিরিক্ত ২ হাজার ২৫০ জন অতিরিক্ত নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় পিএসসি ৪ হাজার ৭৯২ জন সুপারিশ করতে বাধ্য হয়। ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসক মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শূন্য পদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগের সুপারিশ করা সম্ভব হয় নাই।
দেশে চিকিৎসকদের জন্য কী পরিমাণ শূন্য পদ রয়েছে সে সম্পর্কে বক্তারা বলেন, দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে ১ জন চিকিৎসক যান। উপজেলার ৩০ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায়, জেলা হাসপাতালগুলো ২৫০ থেকে ৫০০ শয্যা, ৫০০ শয্যার হাসপাতালগুলোকে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করা সহ অনেকগুলো বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নতুন ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে ১৩৬টি। দেশে ১০৫টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষকের সংখ্যা ৯ হাজার ৪০৩ জন অথচ প্রয়োজন প্রায় ২৫ হাজার ৩০০ জন। অর্থাৎ ৬৩ শতাংশ কম। এ সব ক্ষেত্রে চিকিৎসক সংকট মোকাবেলায় প্রচুর সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ জরুরি। এ কারণেই আমরা এ সংকট মোকাবেলায় ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসককে ক্যাডারভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এমএএম/এমজেএফ