ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সিলেটে ৫ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
সিলেটে ৫ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: সারাদেশের মতো শনিবার (২২ জুন) সিলেটে ৫ লাখ ১৬ হাজার ২০৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। 

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
 
এদিন দুপুরে নগর ভবনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নগরের ২৭ ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭২১ জন জনসংখ্যার বিপরীতে ৬১ হাজার ৮৩৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।


 
এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের স্বাভাবিক ৬ হাজার ৩৮ শিশু ও এই বয়সের প্রতিবন্ধী ১৯ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী স্বাভাবিক ৫৫ হাজার ৭০৬ শিশু ও এই বয়সের প্রতিবন্ধী আরও ৭৫ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
 
এ লক্ষ্যে নগরের ২৭ ওয়ার্ডে স্থায়ী ৩০টি কেন্দ্র ছাড়াও অস্থায়ী, অতিরিক্ত ও ভ্রাম্যমাণসহ ২৪৭ টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। ৫৪ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ৪৯৪ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এবার নতুন করে অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে রিপোর্ট করবেন ৮জন।

আগামী শনিবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নগরের ধোপাদিঘীর পাড় বিনোদিনী দাতব্য চিকিৎসালয় কেন্দ্রে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
 
এদিকে, বেলা ২টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার জেলার ১২টি উপজেলায় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৮ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১২ মাস বয়সী স্বাভাবিক ৪৮ হাজার ৪৬৯ এবং প্রতিবন্ধী ১৭৫ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী স্বাভাবিক ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২ জন ও প্রতিবন্ধী ৬৮২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায় বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শিশুর সংখ্যা ৩ শতাংশ বেড়েছে।
 
ভিটামিন ‘এ’  খাওয়ানোর ফলে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে শিশু মৃত্যুর হার ২০৪। সেখানে সিলেটে ১৬৮। তাছাড়া ৭৮টি মাতৃমৃত্যু হয়েছে গত বছরে। আমরা এ হার আরও কমিয়ে আনতে চাই। শূণ্য থেকে ২৮দিন বয়সে মৃত্যুর হার ১৮ থেকে ১২’তে কমিয়ে আনতে চাই। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার ১৮’তে কমিয়ে আনতে চাই।

তিনি বলেন, শিশুকে ১৮০ দিন মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াতে হবে। কেননা, এ সময়ে শিশুর মা ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণ করলেও শিশু পায় না। এ জন্য ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেওয়া হয়। আর ৫ বছর বয়সের পর থেকে শিশু শাক-সবজি, মাছ, মাংস থেকে এমনিতে ভিটামিন ‘এ’ লাভ করতে পারে।

শনিবার সকাল ৯টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. মোরশেদ আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।