রোববার (০৭ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় এ বিভাগ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন, স্বাস্থ্যসচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ আরো অনেকেই।
উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ঢাকা মেডিক্যালে কার্ডিয়াক সার্জারি ও ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগ চালু করা হলো। আমাদের দেশে যারা হৃদরোগে আক্রান্ত, হার্টে ফুটো, যাদের বাইপাস করার প্রয়োজন হবে তারা এখন থেকে এই ইউনিটে সেবা নিতে পারবেন। ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিভাগ চালু করা হয়েছে। এই ইউনিটে অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্সসহ সবাইকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ভালো সেবা দিতে পারেন।
এতোদিন এ হাসপাতালে সেবাটি ছিল না, এখন এটি চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এর ফলে নামমাত্র মূল্যে দেশের মানুষ এই সেবা পাবেন। যেসব গরিব রোগী দেশের বাইরে গিয়ে সার্জারি করাতে পারতেন না, আবার যারা বাইরে গিয়ে প্রচুর অর্থ খরচ করে এই সার্জারি করাতেন তারা এখন এ হাসপাতালেই কম খরচে সার্জারি করাতে পারবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই সার্জারির জন্য হাসপাতাল সার্ভিস চার্জ, চিকিৎসকদের চার্জ, হাসপাতালের ওষুধের চার্জ লাগবে না। আনুষঙ্গিক জিনিসসহ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যায় হবে রোগীর। এখানে আরেকটি ইউনিট অল্পদিনের মধ্যে চালু করা হবে। তবে যন্ত্রপাতি এখনও আসেনি।
নতুন এ বিভাগের সুবিধা তুলে ধরে তিনি বলেন, দৈনিক ৫/৭ জন বা আরো বেশি রোগী সার্জারি করাতে পারবেন। অন্যান্য মেডিক্যালেও পর্যায়ক্রমে এই বিভাগ চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, এই বিভাগে অত্যাধুনিক একটি কার্ডিয়াক ও একটি ভাস্কুলার সার্জারি অপারেশন থিয়েটার, ছয় শয্যার কার্ডিয়াক আইসিইউ, ছয় শয্যার এইচডিইউ, ১০ শয্যার পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে। বিভাগটির জন্য একশ’ কেভি জেনারেটর, মেডিক্যাল গ্যাস সিস্টেম ও স্বয়ংসম্পন্ন একটি অটোক্লেভ সেন্টার রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস