শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ২৫ জুন সংবাদ সম্মেলন করে দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি আছে জানালে সরকারের সংশ্লিষ্ট সচিব এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আ ব ম ফারুক বলেন, প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার কথা বলেছিলাম আমরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাসমূহ যেমন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস্ অ্যা ন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ) ইত্যাদি ল্যাবরেটরিগুলোতে যেন এখন থেকে নিয়মিতভাবেই দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আছে কি-না তা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। বিএসটিআইয়ের দেড় যুগের পুরনো দুধের স্ট্যান্ডার্ডে (Bangladesh Standard, BDS 1702. 2002) বর্তমানের নয়টি পরীক্ষার সঙ্গে কমপক্ষে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষার মতো দু’টি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে দুধের এই স্ট্যান্ডার্ডকে যুগোপযোগী করার জন্যও আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম। এতে আমরা আরও জানিয়েছিলাম যে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুভব থেকেই আমাদের সীমিত সামর্থ্যে আমরা এই পরীক্ষাটি মাঝে মাঝে করার চেষ্টা করবো।
‘গত সপ্তাহে আমরা এই পরীক্ষাটি পুনরায় সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারও পূর্বোক্ত ৫টি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনা, অর্থাৎ সর্বমোট ১০টি নতুন নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারও সবগুলো নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে। অ্যান্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল ৪টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন)। এর মধ্যে আগের বারে ছিল না এমন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন)। ১০টি নমুনার মধ্যে ৩টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৪টি, ৬টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৩টি এবং ১টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি। ’
ভবিষ্যতেও পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশ করার চেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি আমাদের প্রকাশিত এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে নিজেদের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা দূর করে পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করবে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলো দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে এবং এভাবে দেশের দুধের মানের উন্নতি ঘটবে। উপরন্তু, জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক এই সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে আর বিদেশি চক্রান্ত খুঁজতে হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/