ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘নির্দেশ মেনে দুধের মান নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর বিএসটিআই’ 

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
‘নির্দেশ মেনে দুধের মান নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর বিএসটিআই’  প্রতীকী ছবি

ঢাকা: সম্প্রতি দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বাজারে পাওয়া পাস্তুরিত দুধে এন্টিবায়োটিকসহ ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি নিয়ে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অনুমোদিত পাস্তুরিত দুধের মান নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কর্তৃপক্ষ। 

রোববার (১৪ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএসটিআই’র লাইসেন্স করা সব ব্র্যান্ডের পাস্তরিত দুধে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা- তা চারটি পরীক্ষাগারে এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

পরীক্ষাগারগুলো হলো- ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগার।

এক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করবে বিএসটিআই।  

সোমবার (১৫ জুলাই) এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হুসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ফের দুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে হাইকোর্ট আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। কিন্তু আমাদের হাতে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মানতে আমরা বদ্ধপরিকর।  

এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, দুধে এন্টিবায়োটিকসহ অন্য ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্যারামিটার বিএসটিআইয়ের পরীক্ষাগারে নেই। সেখানে রয়েছে মাত্র ৯টি প্যারামিটার। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে রয়েছে ১৬টি প্যারামিটার, যা যথেষ্ট।  

এছাড়া বিএসটিআই নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা যায়, সাধারণত বিএসটিআইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পণ্যের নমুনা কোম্পানিগুলোর কাছে চাওয়া হলে তারা সরবরাহ করে। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় না সাধারণত। তবে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে এবার নমুনা মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হতে পারে। কিন্তু সামগ্রিক বিষয়ে বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।  

এদিকে চলতি মাসে বিএসটিআই ১৩ সদস্যবিশিষ্ট মান নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করেছে। যারা বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত পণ্যগুলোর মান নিয়ন্ত্রণসহ অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয় নির্ধারণে বা সংশোধনের ক্ষেত্রে কাজ করবে।  

এ বিষয়ে কমিটিটির সদস্য ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণে নতুন প্যারামিটার যোগের ক্ষেত্রে আমরা কাজ করি। এ বিষয়ে আমাদের আগামী ২৮ জুলাই প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর আমাদের কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে জানা যাবে। তবে আমাদের কাজ মূলত পরীক্ষা-নীরিক্ষা নয়, মানোন্নয়ন করা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।