শনিবার (২০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিকেল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম সিবিআরএনের আলাদা বিভাগ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আমাদের এখানে।
উদাহরণ দিয়ে পরিচালক বলেন, কোনো জাহাজে বা কোনো কারখানায় যেকোনো কারণে কেমিক্যাল ভর্তি ড্রাম বিস্ফোরণের পর তা সেখানের শ্রমিকদের ওপর বা তাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই কেমিক্যাল আবার শ্রমিকদের শরীর ছাড়াও নাক ও মুখ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। মূলত এসব রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্যই এই বিভাগটি চালু করা হচ্ছে। এছাড়া বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ ঘটলে, রানা প্লাজার মতো বিভিন্ন কলকারখানায় এ দুর্যোগ ঘটে থাকলে, সেখানের শ্রমিকরা কেমিক্যালের কারণে অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন। এসব রোগীদেরও একযোগে এখানে সেবা দেওয়া হবে। এখানে আনার পর তাদের দূষণমুক্ত করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। পরিচালক একেএম নাসির উদ্দিন এও বলেন, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে বিগত ১৮ বছর ধরে ময়লার স্তূপ ছিল। এখানে হাসপাতালের পুরানো মালামাল, ভাঙাচোরা যন্ত্রাংশ ও ময়লা ছিল। সেগুলো পরিষ্কার করে এখানে বাংলাদেশের এই প্রথম সিবিআরএন বিভাগ চালু করা হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের অনেক কর্মচারী ও কর্মকর্তা জানান, বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন স্যার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসার মান অনেক উন্নত হয়েছে। জরুরি বিভাগে চালু হয়েছে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস সেন্টার। এখানে রোগীরা আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) সাপোর্ট পর্যন্ত পাচ্ছেন। এটা হাসপাতালে কল্পনার বাইরে ছিল। এছাড়া অনেক উন্নত সেবা রোগীরা এখন পেয়ে যাচ্ছেন। ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন নিজের উদ্যোগে ওই আন্ডারগ্রাউন্ডে সরকারের সহযোগিতায় বিভাগটি চালু করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এজেডএস/টিএ