এছাড়া শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসাপাতাল এবং ক্লিনিকে আরো অন্তত ৩০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। সব মিলে ৭ দিনে ৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া গেছে।
পাবনা জেনারেল হাসাপাতালে ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। পাবনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবরে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় স্বয়ং চিকিৎসক ও নার্সসহ সেখানকার কর্মচারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয় কিটস বা প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য জরুরি বার্তা পাঠালেও সোমবার পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে ভর্তি হওয়া রোগী এবং রোগীর অভিভাকরা জানান, হাসপাতাল থেকে শুধু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। আর অন্য ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। সাধারণ রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের না রেখে আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হতো। পাশাপাশি চিকিৎসাপত্র সরকারিভাবে সরবারহ করা উচিৎ বলে মনে করেন রোগীরা।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের আমরা পরীক্ষা করিয়ে বিশেষ সেবা দিয়েছি। আলাদাভাবে মশারি টানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে অন্য সাধারণ রোগী এ রোগে আক্রান্ত না হয়। গত এক সপ্তাহে বেশ কিছু রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিন নতুন রোগী আসছে। বর্তমানে ২৬ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে খুব গুরুতর রোগী এখনো আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
এই হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ রোগীরা বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনছেন। হাসপাতাল প্রশাসন থেকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সামগ্রী পাঠালে হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে পরীক্ষা করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। সঙ্গে নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে সাবধনতা ও সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
রাতে মশারি টানিয়ে শোবার পরামর্শসহ জ্বর এলে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
আরএ