এ কথা বলছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার অধ্যাপক ডা. এমএম আক্তারুজ্জামান। সোমবার (২৯ জুলাই) নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক সভায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন তিনি।
ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু থেকে নিস্তার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। পানি জমে থাকলে সেখানে এই মশা জন্ম নেবেই। সেই পানি শুকিয়ে গেলেও এডিসের ডিম নয় মাস পর্যন্ত থাকবে। সেটা ঘরের মেঝেতেও যদি থাকে, পানি পাওয়ার পর সেখান থেকে লার্ভা (ডিম ফোটার পর থেকে শুরু হয়ে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিণত হওয়া পর্যন্ত জীবনচক্রের দশা) হবে। পরিপূর্ণ মশা জন্ম নেবে। তাই স্যাঁতস্যাঁতে ঘরের মেঝেতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো কার্যকর হবে। এছাড়া মশারি ব্যবহার, অ্যারোসল স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক এ প্রোগ্রাম ম্যানেজার বলেন, ২০১৭ সালে আমরা যে পরিমাণ লার্ভা পেয়েছিলাম, এবার তার তুলনায় শতভাগের বেশি পাওয়া গেছে। মূলত, নির্মাণাধীন ভবন, জমে থাকা পানি, ডাবের খোসা ইত্যাদিতে আমরা লার্ভা পেয়েছি।
জ্বর হলেই না ঘাবড়ানোর পরামর্শ দিয়ে ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, জ্বর হলে ছয় ঘণ্টার মধ্যে রক্ত-পরীক্ষা করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর প্রথমবার হলে তেমন সমস্যা নেই। দ্বিতীয়-তৃতীয়বার হলে সমস্যা ভয়াবহ হয়। তখন শরীরের বিভিন্ন অরগান ফেইলর হয়। তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ডেঙ্গু মোকাবেলায় ফোয়ারা বন্ধ রাখাসহ আশেপাশের ভবনেও যেন পানি জমতে না পারে প্রভৃতি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসি সচিবকে নির্দেশনা দেন।
সভায় জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ইসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
ইইউডি/এইচএ/