যদিও স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে সঠিকভাবে গোটা বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ রোগীদের ওষুধ ও সব ধরনের সেবাও দেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪০ জন ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোর দ্বারস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে শেবাচিম হাসপাতাল ছাড়া বরিশাল শহরে ৯ জন, পটুয়াখালীতে ৩১ জন, ভোলায় ১৬ জন, পিরোজপুরে ১০ জন, বরগুনায় ৩০ জন ও ঝালকাঠিতে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩৪ জন ও মৃত্যু হয়েছে একজনের।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তিরত ৩৩ জনসহ হাসপাতালে বর্তমানে ৭৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন। ফলে এ হাসপাতালে এ পর্যন্ত মোট ভর্তি ১৩৪ জন রোগী। হাসপাতাল ছেড়েছে ৫৩ জন এবং মৃত্যু হয় দু'জনের।
সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আরও জানান, শুরুতে ঢাকা থেকে বরিশালে এসেই যেহেতু অনেকের ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত হয়েছে, তাই আমরা মনে করছি, বরিশালেও ডেঙ্গুর জীবাণু থাকতে পারে। আমরা কোরবানিকে ঘিরে বরিশালে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এরমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছি। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী সিদ্ধান্ত ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত বরিশালে ৩ জনের মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে রয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আতঙ্কের কিছু নেই।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং-পোস্টারিং ছাড়াও বিভিন্ন পন্থা মাঠকর্মীদের সহয়তায় জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। আমাদের বিভাগে চিকিৎসক সংকটের হিসাবটা বেশি হলেও যারা রয়েছেন তারা সবাই সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এমএস/এএটি