সারাদেশে যখন ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে ঠিক তখন রাঙ্গামাটিতেও সন্ধান মিলেছে ডেঙ্গু রোগীর। জেলায় এ রোগে ছয়জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাঙ্গামাটি হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রে জানানো হয়, হাসপাতালে ছয়জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা রাঙ্গামাটির বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কেউ আশঙ্কাজনক নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গামাটিতে প্রথম ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলে সোমা চাকমা নামের এক কলেজছাত্রীর মাধ্যমে। তিনি ঢাকার একটি কলেজের ছাত্রী এবং রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন সুমী আক্তার। তার স্বামী মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কিছুদিন আগে তারা ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছেন। সেখান থেকে আসার পর তার স্ত্রী জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর হাসপাতালে পরীক্ষা করালে তার স্ত্রীর ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
এদিকে সারাদেশের ন্যায় পুরো জেলা ডেঙ্গু আতঙ্কে ভূগছে। উল্লেখযোগ্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া না গেলেও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সূত্র জানায়, ডেঙ্গু মোকাবিলায় এক লাখ টাকা তহবিল গঠন করা হয়েছে। ছয় সদস্যের ডেঙ্গু মনিটরিং সেলও করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আব্দুল হাই।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় বসে নেই রাঙ্গামাটি পৌরসভাও। মশা নিধনেও ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি।
রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর খান বলেন, রাঙ্গামাটিতে ডেঙ্গু এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে ছড়ায়নি। তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এজন্য হাসপাতালের ল্যাবকে আপডেট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হবে। রোগটি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বস্তরের জনবল এক সঙ্গে কাজ করছে।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিয়ে ডা. শওকত বলেন, দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানাতে হবে। বাড়ি-অফিস সব স্থানের আশেপাশ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পানি জমতেও দেওয়া যাবে না।
রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। রোগটি মোকাবিলায় জেলা পরিষদের মাধ্যমে এক লাখ টাকার একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এমএ