শনিবার (০৩ আগস্ট) সকালে এ রোপর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (০২ আগস্ট) এ সংখ্যা ছিল ১১৪ জন।
অপরদিকে চিকিৎসাধীন ১৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৯২, মহিলা ৩৯ ও শিশু রয়েছে আটজন।
গত ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত বরিশাল মেডিক্যালে মোট ২১৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। মারা গেছেন দুই জন।
এদিকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্রতীকী মূল্যে রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা থাকলেও ডেঙ্গু রোগীদের কারোর স্থান হয়েছে মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোর মেঝেতে আবার কারোর ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়।
অপরদিকে সরকার নির্ধারিত বেশি অর্থাৎ অতিরিক্ত ফি না নিতে পারায় কৌশলগতভাবে বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সন্ধ্যার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করে দেয় বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যদিও সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ হাসপাতালে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ডায়াগনস্টিক মালিকদের ডেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র মধ্যে ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষার নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের ব্লাড প্লাটিলেটস পরীক্ষার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এন্টিজেন্টের সংকট এখনও থাকলেও শনিবার সকালে পর্যাপ্ত স্যালাইন এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের সুবিধার্থে হাসপাতালে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি রোগীদের জন্য হাসপাতালে শিগগিরই একটি পৃথক ওয়ার্ড চালু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এমএস/জেডএস