বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) হাসপাতালের চতুর্থ তলায় এ ইউনিটটিতে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এর পাশাপাশি আগামী রোববার (১১ আগস্ট) জারুরি ভিত্তিতে আরও ১২টি কেবিন ডেঙ্গু রোগীদের জন্য চালু করা হবে।
আর এরপরও যদি ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আরও জায়গার প্রয়োজন হয়, তবে আড়াইশ রোগী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে শেবাচিমের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কাগজে কলমে এক হাজার শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের ওপর রোগী ভর্তি থাকছে। এরইমধ্যে হাসপাতালের একাংশে সংস্কার কাজ চলছে। ফলে সেখানকার ওয়ার্ডগুলোর রোগীদের পার্শবর্তী ওয়ার্ডগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কোরবানিকে ঘিরে ঢাকা থেকে বহু মানুষ বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে আসবে, যে সময়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এজন্য সার্বিক দিক চিন্তা করে সংকটের মধ্যেও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্বতন্ত্র ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, আপাতত হাসপাতালে মাঝের যে ব্লকের সংস্কার কাজ চলছে তার চতুর্থ তলার একটি ওয়ার্ড ডেঙ্গু ইউনিট হিসেবে চালু করা হচ্ছে। যেখানে এক সঙ্গে এক’শ রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার থেকেই ওয়ার্ডটিতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রাখা যাবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর বাহিরে আগামী সপ্তাহের ১১ আগস্ট একই ব্লকের পঞ্চম তলায় জরুরি ভিত্তিতে ১২টি কেবিন চালু করা হবে। আর এতোকিছুর পরও স্থান সংকুলান না হলে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নগরের কালিজিরা এলাকায় সদ্য চালু হওয়া প্রাইভেট হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়েছে। যেখানে এক সাথে আড়াইশ রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
পরিচালক বলেন, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা শেবাচিম হাসপাতালের নির্মাণাধীন পাঁচ তলা বিশিষ্ট এক্সটেনশন ভবনটির কাজ শেষ হলে জায়গা সংকটের প্রশ্নই উঠতো না। অনেক চিঠি চালাচালির পরে এখন ভবন নির্মাণ, টাইলস, দরজা-জানালার কাজ শেষ হয়েছে। তবে সাড়ে তিন কোটি টাকার জন্য ওই ভবনটিতে লিফট ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চারটি ইউনিটে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য পৃথক চারটি ওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকলেও নারীদের জন্য রয়েছে মাত্র একটি। এ কারণে নারীদের ওয়ার্ডটিতে বছর জুড়েই রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে।
পুরুষদের জন্য নির্ধারিত চারটি ওয়ার্ডে প্রতিটিতে (বর্ধিত শয্যা সহ) ৪৮টি করে মোট ১৯২টি এবং নারীদের ওয়ার্ডে ৭২টি শয্যা রয়েছে। বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিটেই এক থেকে দেড়শ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। যার মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাই প্রায় আড়াইশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/