বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৮ জন। অন্যদিকে ৭৬ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
ভোলার চার উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সদর হাসপাতালে ২৬ জন, চরফ্যাশনে আটজন, তজুমদ্দিনে একজন, লালমোহনে একজন ও মনপুরা হাসপাতালে দু’জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে তিনজন নারী।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন স্থানীয় রোগী হলেও বাকিরা ঢাকা থেকে আসা। ডেঙ্গু রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি। সুস্থ হয়ে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, সদর হাসপাতালসহ সব হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ অ্যান্টিজেন্ট কিডস সরবরাহ করা হয়েছে। এখন থেকে সব হাসপাতালেই ডেঙ্গু শনাক্ত করার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু হয়েছে।
এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলার সাত উপজেলার ছয় শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতামূলক সভা, স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রশিক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ নানা কর্মসুচি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভোলা পৌরসভাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর এলাকায় মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। তারপরেও ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত সাধারণ মানুষ। সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত হলেই রোগীরা ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ছুটে যাচ্ছেন। যার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান জানান, ছোট ছেলেটার দু’দিন থেকে জ্বর। জ্বরের কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছি। তাই দুপুরে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
আরকেআর/আরবি/