ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম. রুহুল হক বলেছেন, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসের সাফল্যকে এগিয়ে নিতে হলে প্রসবকালে হাসপাতালে যেতে অনিচ্ছুক মায়েদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।
মন্ত্রী রোববার ওয়েস্টইন হোটেলে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য বিষয়ক যৌথ কর্মসূচি সম্পর্কে জাতীয় অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ডিএফআইডি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে কারিগরী সহায়তা প্রদান করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এসব মায়েদের হাসপাতালমুখী করার জন্য মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের তৎপর হতে হবে।
পাশাপাশি বাড়িতে প্রসবকালে যারা সাহায্য করছেন তাদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এম এম নিয়াজউদ্দিন, বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি ক্যারল ডে রুই, ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি আর্থার এরকিন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. অরুণ ভদ্র থাপা বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে বিগত দিনের কার্যক্রম এবং স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আজিজুল আলিম এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরীফ।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চের ডা. মো. আব্দুল হালিম ঠাকুরগাঁও জেলায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো এখন প্রসূতি মায়ের সেবা প্রদানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ডভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সরকার জনবল, প্রাথমিক চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং ঔষধ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির এই নিশ্চয়তা সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে মনিটরিং জোরদারের ফলে এমডিজি লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১১