সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর বি-ব্লকের মিলন হলে তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেন এবং অবিলম্বে দাবি মেনে নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরিতোষিক (কমিশন) বাতিল করে সেই অর্থ প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা করা; বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকতা, নার্স ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা কার্ড দেওয়া ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংগঠনের নির্বাচন দেওয়া এবং অবিলম্বে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা।
এসময় সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল, তৃতীয় শ্রেণীর পক্ষ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মচারী শাহিন, পরিচালকের কার্যলয়ের কর্মচারী রবিন সিংহ এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয় পরিচালকের কার্যালয়ের পিওন লোকমান।
কর্মচারীরা দাবির পক্ষ বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি বলেন, কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো নিয়োগ দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিতোষিক নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সেটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনাধীন রয়েছে বলে সবাইকে মন দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা) অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএএম/জেডএস