ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে প্যালিয়েটিভ কেয়ার অন্তর্ভুক্তের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে প্যালিয়েটিভ কেয়ার অন্তর্ভুক্তের দাবি

ঢাকা: সার্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থার (ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ)  প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থানের অঙ্গীকারকে সম্মান জানিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে প্যালিয়েটিভ কেয়ার  (প্রশমন সেবা) অন্তর্ভুক্তকরণের দাবি জানানো হয়েছে।

এ লক্ষ্যে সামনে রেখে শনিবার (১২ অক্টোবর) বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আমার যত্ন, আমার অধিকার’।  

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য  দিবস ২০১৯ উদযাপন শেষে বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস উপলক্ষে ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

 

এতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে নিরাময় অযোগ্য মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ ও তাদের ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এক হয়ে সারা বিশ্বব্যাপী প্রতি অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার এই দিনটি উদযাপন করে। প্যালিয়েটিভ কেয়ার সম্পর্কে প্রচারণা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিস্তার ঘটানোই এই দিবসটির মূল লক্ষ্য।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্যালিয়েটিভ কেয়ার একটি নাগরিক অধিকার। নিরাময় অযোগ্য বিভিন্ন রোগ যেমন- ক্যান্সার, এইডস, কিংবা প্রান্তিক পর্যায়ের হার্ট ফেইলিউর, কিডনি অথবা ফুসফুসের রোগ, স্ট্রোক, স্মৃতিভ্রষ্টতা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত মানুষ এবং তাদের পরিবার এই সেবা ব্যবস্থায় উপকৃত হতে পারেন। প্যালিয়েটিভ কেয়ার মৃত্যুকে তরান্বিত বা দেরী করায় না, বরং মৃত্যুকালীন ভোগান্তি লাঘবে চেষ্টা করে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্যালিয়েটিভ সেবা হলো সত্যিকার অর্থেই একটি মহতী সেবা কার্যক্রম। এটা হলো নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত, প্রান্তিক সময়ের মানুষ ও পরিবারের ভোগান্তি কমানোর একটি বিজ্ঞান সম্মত প্রচেষ্টা।  নিরাময় অযোগ্য জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী মানুষ যথাযথ চিকিৎসাসেবা এবং পরিচর্যা পাওয়ার অধিকার রাখে।  

শনিবার সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড পলিয়েটিভ কেয়ার দিবস পালিত হবে বলে জানান তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শারমিন লাকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এমএএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।