শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রাশাসন অধিদফতরে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি। নভো নরডিস্কের সহয়তায় ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এ কর্মশালার আয়োজন করে।
অধ্যাপক আজাদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে কম-বেশি ৫ শতাংশ টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাদের পক্ষে ইনসুলিনের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই সরকার যদি জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে তাহলে বিনামূল্যে ইনসুলিন বিতরণের মাধ্যমে এসব রোগীর জীবন বাঁচনো সম্ভব।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সব ওষুধের দোকান মডেল মেডিসিন শপে পরিণত করা হবে। আমাদের দেশের ওষুধের মান ভালো, কিন্তু দোকানে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলো কার্যক্ষমতা হারায়। ওষুধ প্রশাসন ট্রাডিশনাল ওষুধের ক্ষেত্রে জিএমপি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া শিগগিরই ট্রাডিশনাল ওষুধের মূল্যও নির্ধারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি, ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, নভো নরডিস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনন্দ শেঠি, হেড অব কমার্শিয়াল মো. তানবীর সাজিব, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার গাজী তাওহীদ আহমেদ, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানকিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এমএএম/এইচজে