বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি গোল্ডেন রাইসের বাণিজ্যিক প্রচলন বন্ধে আয়োজিত কৃষি সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনগুলো।
সম্মেলনে জানানো হয়, গোল্ডেন রাইসের পক্ষে এই বলে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে যে, এ ধানে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন বা প্রো-ভিটামিন-এ রয়েছে, যা খেলে রাতকানাসহ ভিটামিন এ’র অভাব দূর হবে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় কিষাণী সমিতির প্রতিনিধি নাসরিন সুলতানা বলেন, ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে গোল্ডেন রাইসের চাষ নিষিদ্ধ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোল্ডেন রাইসে থাকা বিষাক্ত পদার্থ ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির জিন ঢুকিয়ে বিকৃত বীজ তৈরির ফলে এটি পরিবেশ ও স্বাস্থের মারাত্মক ঝুঁকি বাড়াবে। পরিবেশ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বাণিজ্যিক চাষাবাদের জন্য গোল্ডেন রাইস অনুমোদন দেওয়ার মূল লক্ষ্য বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ সুরক্ষা ও তাদের মুনাফা বাড়ানো।
তিনি বলেন, গোল্ডেন রাইস হলো পুরোপুরি একটি ব্যবসায়িক কৌশল, যা কৃষকের বীজ শেষ করে ফেলবে। সে জায়গায় বাণিজ্যিক বীজ ঢোকানো হবে। কোম্পানি পেটেন্টে গোল্ডেন রাইসের বাণিজ্যিক প্রচলন কৃষি ব্যবস্থার উপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করবে।
সম্মেলনে গোল্ডেন রাইস ইস্যুতে বেশ কয়েটি সুপারশি করা হয়। এর মধ্যে ছিল- খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি গোল্ডেন রাইসের প্রবর্তন বন্ধ করা, বিটি বেগুনের বাণিজ্যিক চাষ বন্ধ করা, পরিবেশ বিধ্বংসী ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক কীটনাশক আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, কঠোর জৈব-নিরাপত্তা আইন চালু করা ও এর সঠিক প্রয়োগ এবং দেশীয় বীজ সংরক্ষণে কৃষকদের সহায়তার পাশাপাশি প্রণোদনা দেওয়া।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধি মজিবুল হক মনির, মামুন প্রমুখ।
বাংলাদশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
ইএআর/এইচজে