ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘সুস্থ জীবনযাপনে খাবার গ্রহণ পরিমিত হওয়া প্রয়োজন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
‘সুস্থ জীবনযাপনে খাবার গ্রহণ পরিমিত হওয়া প্রয়োজন’

ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান বলেছেন, যত বেশি খাবেন তত বেশি আপনি নষ্ট করবেন। আপনি তত বেশি আবর্জনা তৈরি করবেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাকশন এইড আয়োজিত ঢাকাবাসী জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস ও প্রবণতার বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।  

তিনি বলেন, আমি মনে করি বেশি খাওয়া মানে আয়ু কমে যাওয়া।

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আমাদের পরিমিত খাবার প্রয়োজন। ভোগের পেছনে যেভাবে আমরা ছুটছি, যে আমাদের তিন বেলা তিন রকমের খাবার না খেলে হয় না। আমরা এক ধরনের হ্যালুসিনেশনে ভুগছি।

মনজুরুল হান্নান খান বলেন, যারা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করেন তারা এ কথা মানবেন আল্লাহ আপনার রিজিকটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কোথায় খাবেন, কী খাবেন, কত দিন খাবেন, সব নির্দিষ্ট করা আছে। খাবার হচ্ছে আমাদের সমাজে প্রার্থনার মত। আমরা কিন্তু বিসমিল্লাহ বলে খাবার শুরু করি। আপনার, আমার মা সবাইকে হাতে ধুয়ে বিসমিল্লাহ বলে খাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। খ্রিস্টান ধর্মের ভাইদের দেখেছি প্রার্থনা করে খাওয়া শুরু করে।

তিনি বলেন, কিছু মানুষ প্রচুর খেতে ভালোবাসে। তারা খাওয়ার জন্য বাঁচে। আর কিছু মানুষ খেতে হবে তাই খায়। অল্পস্বল্প করে খায়। আমরা কখনো থালায় খাবার রেখে উঠতে পারতাম না। আমরা ভাই-বোনেরা কখনো খাবার নষ্ট করতাম না। যতটুকু খেতাম ততটুকুই নিতাম। এ শিক্ষাটা পেয়েছিলাম মা’র কাছ থেকে। এ শিক্ষাগুলো আস্তে আস্তে আমাদের সমাজ থেকে উঠে যাচ্ছে। এখন মায়েরা আর রান্না করেন না। তারা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চলে যান রেস্টুরেন্টে।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, বহু চেষ্টা করে আমরা তিন থেকে পাঁচ বছরের মতো পলিথিন ব্যবহার বন্ধ রাখতে পেরেছিলাম। তারপরেও রাখতে পারিনি। এখন বাজারে গেলে কেউ কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে যায় না। বাজারে ব্যাগ নিয়ে যাওয়া এখন যেনো মানুষের কাছে সম্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০ বছর আগে এ ধরনের মন-মানসিকতা মানুষের মধ্যে ছিল না। এখন বাজারে গেলে পলিথিনের ব্যাগ ফ্রি পাওয়া যায়। আমেরিকায় ব্যাগ বিক্রি করে। আমাদের বাজারে বিনামূল্যে পলিথিনের ব্যাগ দেয়। ভারতের দিল্লিতে কোনো প্লাস্টিকের ব্যাগ নেই। আমাদের বাজারে বড় বড় দোকানগুলোতে যদি পলিথিনের ব্যাগ না দিতো তাহলে পলিথিন ব্যবহার কমে আসত। পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হলে সব দিক থেকে বন্ধ করতে হবে। শুধু আইন করে বন্ধ করা যাবে না। ভারতে কোনো পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া যায় না। ১০ রুপি দিয়ে কাগজের ব্যাগ কিনতে হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর, মেকম’র সিইও রাবেত খান, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ (আমেরিকা) রিচার্ড রিগান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ টনি খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়:  ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএমআই/এবি


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।