ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ডায়ালাইসিস সেবা সাশ্রয়ী করতে পিপিপিতে যাচ্ছে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ডায়ালাইসিস সেবা সাশ্রয়ী করতে পিপিপিতে যাচ্ছে সরকার

ঢাকা: সরকার দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা সাশ্রয়ী করতে বিশেষ করে ডায়ালাইসিস এবং ডায়াগনোসিস সার্ভিসে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) যেতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বের) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠানে একথা জানান মো. আসাদুল ইসলাম।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক নাসিমা সুলতানা, পিপিপি অথরিটির মহা-পরিচালক আবুল বাসার ও  এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ সমঝতা স্মারকে সই করেন।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পিপিপি অথরিটি ও এডিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সরকার দেশের স্বাস্থ্যসেবা সাশ্রয়ী করতে বিশেষ করে ডায়ালাইসিস এবং ডায়াগনোসিস সার্ভিসে পিপিপিতে যেতে চাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার এডিবির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝতা স্মারক সই হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এডিবি স্বাস্থ্যখাতের সেবাগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনা থেকে কিভাবে আরও সাশ্রয়ী করা যায়, তা খুঁজে বের করবে। এজন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ মোট চারটি হাসপাতালে অ্যাসেসমেন্ট করবে তারা।

আসাদুল ইসলাম বলেন, পিপিপির মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে অনেকগুলো মিটিং হয়েছে, অনেকগুলো প্রচেষ্টা হয়েছে। কোন এরিয়ায় আমরা পিপিপিগুলো করতে পারি এডিপির সহায়তায়। এ উদ্দেশ্যে অনেকবার মিশন এসেছে। আমরা এরিয়া সিলেক্ট করেছি। আমরা দেখেছি, প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন আছে ডায়ালাইসিস এবং ডায়াগনোসিস সার্ভিসের, সেখানে আমরা করতে পারি।

তিনি বলেন, এমওইউ’র আওতায় এডিবি অ্যাসেসমেন্ট করে সহায়তা দেবে। এটা সম্ভব কী সম্ভব নয়, ভালো ও সাশ্রয়ী হবে কি হবে না। অ্যাসেসমেন্টের পর আমরা খুঁজবো কারা পার্টনার হতে পারে। সেটা এডিবি হতে পারে, অন্যান্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হতে পারে। সেটার জন্য গাইডলাইন হবে, কোন কোন শর্তে আমরা তাদের সঙ্গে এগ্রি করবো। সেগুলো তৈরি করা হবে।

আমরা দ্রুত কি করতে পারি এবং দীর্ঘমেয়াদী কি করতে পারি সেটার উদ্দেশ্যে একটা অ্যাসেসমেন্ট হবে। সেই অ্যাসেসমেন্টটা করবে এডিবির একটি টিম। এ মাসের মধ্যে অ্যাসেসমেন্টটা হলে ঢাকার শহরে চারটি হাসপাতালে-শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল এবং মিটফোর্ড সলিমুল্লাহ হাসপাতালে সেখানে ডায়াগনোসিস ও ডায়ালাইসিস সার্ভিসে পিপিপি হতে পারে কি-না হলে লাভজনক হবে কি-না প্রয়োজন আছে কিনা, এ অ্যাসেসমেন্টগুলো করার পর আমরা খুব তাড়াতাড়ি পার্টনারশিপে যাবো।

আসাদুল ইসলাম বলেন, আরেকটা কাজ হবে এডিবির সহযোগিতায় হেলথ সেক্টরে পিপিপিতে আরও কি কি কাজ হতে পারে। সে বিষয়েও আমরা অ্যাসেস করবো। শুধুমাত্র ডায়াগনোসিস কিংবা ডায়ালাইসিস না অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি হেলথ, প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস, ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস, মেইনটেনেন্স সার্ভিসেস কি কি হতে পারে সেই বিষয়েও আমরা ভবিষ্যতে অ্যাসেস করে দেখবে। যেসব বিষয়ে পিপিপি করলে লাভজনক হবে সরকারের ব্যবস্থাপনার তুলনায় ভালো ব্যবস্থাপনা হবে খরচ সাশ্রয়ী হবে সেইসব বিষয়ে আমরা আস্তে আস্তে পিপিপি করবো। সেই উদ্দেশ্যেই প্রথম যাত্রা, প্রথম এমওইউ সই হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।