ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম গতিশীল রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১১
এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম গতিশীল রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক বলেছেন, দেশে এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রমের গতিকে কোনওভাবেই মন্থর করা যাবে না। একে গতিশীল রাখতে হবে।



বৃহস্পতিবার ঢাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে স্থানীয় এনজিওগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

এসটিআই/এইডস নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এইডস রোগী বৃদ্ধির হার এক শতাংশের কম হলেও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে এ হার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাই বলে বাংলাদেশকে কোনওভাবেই ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না।

তাই এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচিতে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা বাড়াতে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।


নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বক্তৃতা করেন।

বাংলাদেশে এইডস রোগের পরিস্থিতি এবং এইডস প্রতিরোধে স্থানীয় এনজিওদের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে করণীয় বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ্ এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ্ এহসান হাবিব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক লোক বিদেশে যাচ্ছে। দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এসব প্রবাসীর মধ্যে যেন কোনওভাবেই এইডস’র সংক্রমণ না ঘটে সে লক্ষ্যে তাদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে। এজন্য বিদেশে যাওয়ার আগেই এইডস সংক্রমণ সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দেওয়া প্রয়োজন।


এইডস সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যেন অহেতুক ভীতির সঞ্চার না হয় সেদিকেও তিনি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

মন্ত্রী বলেন, এইডস রোগীর সঙ্গে স্বজন বা চিকিৎসক ও নার্স যেন স্বাভাবিক আচরণ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে এইডস রোগীর বৃদ্ধির হার এক শতাংশ হলেও পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ায় এ হার ২৫০ শতাংশ।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ হাজার ৫০০ ব্যক্তি এইচআইভি-তে আক্রান্ত।

২০১১ সালে এ পর্যন্ত নতুন এইচআইভি আক্রান্ত ৪৪৫ জন। নতুন এইডস আক্রান্ত ২৫১ জন এবং এর মধ্যে ৮৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭, ডিসেম্বর ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।