ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে চিকিৎসকদের থার্টি ফার্স্ট!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে চিকিৎসকদের থার্টি ফার্স্ট!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে আলোকসজ্জা করে ‘পিঠা উৎসব’র নাম দিয়ে বছরে শেষ দিনটি গান বাজনার মাধ্যমে উদযাপন করেছে হাসপাতালটির চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের এমন কাণ্ডে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।

গান-বাজনা ও আতশবাজির বিকট শব্দে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে রোগীসহ তাদের স্বজনরা। ফলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির স্বাভাবিক পরিবেশ অনেকটা অচল হয়ে পড়ে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগীর স্বজন বাংলানিউজকে জানায়, হাসপাতাল হলো সেবার জায়গা। এখানে কেউ আনন্দ উল্লাস করতে আসে না। সবাই নিরিবিলি পরিবেশে ভালো সেবা পেতে যায়। যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আপনজনের কাছে ফিরে যেতে পারে।  
 
জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে বছরের শেষ দিন উদযাপন করতে ওষুধ কোম্পানি হেলথ কেয়ারের প্রোডাক্ট সারজেল হাসপাতালের ভেতরে ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্ট ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করে।  

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহ আলম, বিএমএ নেতা ডা. আবু সাঈদ ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে হাসপাতালের চিকিৎসক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেয়।

এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে গান বাজনা করতে স্টেজ বানানো হয় বহির্বিভাগের গেটের সিঁড়িতে। এতে বিকট শব্দে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা। এছাড়াও হাসপাতাল কম্পাউন্ডে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করা হয়।

এমন কাণ্ডে রাত থেকে ফেসবুকসহ শহরজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে নতুন বছরের আগমনে যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে গান বাজনা ও আতশবাজি ফোটাতে পুলিশ প্রশাসন থেকে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাও মানা হয়নি।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটি কনসার্ট নয়। এটি পিঠা উৎসব। হাসপাতালের আউটডোরের আয়োজন করা হয়। পরে রোগীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে অনুষ্ঠানটি সংক্ষেপ করা হয়।

সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ডাক্তারদেরও বিনোদনের প্রয়োজন আছে। এতে রোগীদের কোনো সমস্য হয়নি। রোগীদের বিষয়টি আমাদের মাথায় ছিল।  

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।