সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, দেরি হওয়ার কারণে অনেক সময় পচে যায় সরবরাহকৃত খাবার। আবার সময় মতো খাবার না পাওয়ায় ক্ষুধার জ্বালায় ভুগতে হয়।
হাসপাতালের সার্জারি (নারী) ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগী জানান, সবার তো বাইরে থেকে খাবার কিনে খাওয়ার সাধ্য থাকে না। হাসপাতালের খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন অনেকে। কিন্তু খাবার দিতে এতো দেরি হয় যে, রোগীদের না খেয়ে কষ্ট পেতে হয়।
শুধু খাবার সরবরাহে অব্যবস্থাপনাই নয়, আন্তঃবিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালের টয়লেটগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নকর্মীরা কেবিনে আসেই না।
সামেক হাসপাতালের ২৫৫ নম্বর রুমে ভর্তি হওয়া রোগীর স্বজন কালিগঞ্জ সদরের মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আট দিন ধরে কেবিনে রয়েছি। এরমধ্যে একদিনও কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী কেবিন পরিষ্কার করতে আসেনি। শুধু তাই নয়, তাদের ডেকেও পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে ওয়ার্ড মাস্টারকে বলেও কাজ হয়নি।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সামেক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খাবার দিতে দেরি হওয়ার কথা নয়, সকালের খাবার ৭টা-৮টা, দুপুরেরটা সর্বোচ্চ ২টার মধ্যে দেওয়ার কথা। হয়তো দিতে দেরি হয়ে যায়। আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা হয়।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতো বড় হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন কর্মী মাত্র ২০ জন। আটতলা হাসপাতাল এতো অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই কঠিন। এমন একটি হাসপাতালের জন্য তিন শিফটে অন্তত ২০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রয়োজন। তার উপর এসব কর্মী আবার আউট সোর্সিংয়ের। তারা কথা অনেক সময় কথা শুনতে চায় না।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আগে কেউ কখনো অভিযোগ করেনি, যেহেতু জানতে পারলাম, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এনটি