তিনি বলেছেন, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনসহ চারজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্য দুই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
সোমবার (০৯ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআর কার্যালয়ে ব্রিফ করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বডন জং রানা এবং আইইডিসিআরের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এএসএম আলমগীর।
ডা. ফ্লোরা বলেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের দুইজন ইতালি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন। ইতালি থেকে আসার পর চার থেকে সাতদিনের মধ্যে কোনো ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পেলে আইইডিসিআর এর নমুনা পরীক্ষা করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করা হয়। আক্রান্ত একজনের মাধ্যমে পরবর্তীকালে একই পরিবারের আরও এক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল বিকেল ৫টা থেকে এ পর্যন্ত ৫০৯টি কল পেয়েছি। এরমধ্যে ৪৭৯ টি করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত। এছাড়া সরাসরি ১৮ জন এসেছেন। এদের মধ্যে চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়নি।
পরিচালক বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন বাড়িতে থাকতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে যাবে না। তবে এটা মনে রাখতে হবে, বিদেশ থেকে এলেই কিন্তু তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিদেশ ফেরতদের সঙ্গে করোনা ভাইরাস নিয়ে অস্বাভাবিক ধরনের কোনো আচরণ করবেন না। বাড়িওয়ালাদেরও বলব, আপনারা তাদের বাড়িতে থাকতে দিন। না হলে আরও বেশি ছড়াবে। তাদের যদি হোটেলে থাকতে হয়, তাহলে আমাদেরই কিন্তু বেশি ক্ষতি হবে। ভাইরাসটি বাইরে ছড়িয়ে পড়বে যদি তার শরীরে থেকে থাকে। এছাড়া এটাও খেয়াল রাখতে হবে- তারা বিদেশ থেকে আসা মানেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন।
তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ কোরিয়া ইতালি ও ইরানের দিকে নজর রাখছি। তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ, অর্থাৎ ঘণ্টা হিসেবে কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, কতজন শনাক্ত হয়েছেন, তাদের কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, কতজন সুস্থ হয়েছেন, আবার কতজন মারা যাচ্ছেন, এসব দেখছি।
আরও পড়ুন>> বিদেশফেরত মানেই করোনায় আক্রান্ত না: আইইডিসিআর
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
পিএস/টিএ