ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বগুড়ায় বিপুল প্রস্তুতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বগুড়ায় বিপুল প্রস্তুতি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

বগুড়া: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ (কোভিড-১৯) ঠেকাতে বগুড়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বিপুল প্রস্তুতি। ইতোমধ্যেই সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য সদর উপজেলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। পাশাপাশি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) ও ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পৃথক দু’টি করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে।

এছাড়াও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম চালুসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (১১ মার্চ) জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুব শিগগিরই জেলার শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ৪০ শয্যার ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরও ৬০ শয্যাসহ মোট একশ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া জেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদেরকেও করোনা ইউনিট চালু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সংগঠন বগুড়া জেলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওই সভায় উপস্থিত সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু বলেন, বগুড়া সদরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য শহরতলীর রাজাপুর এলাকায় অবস্থিত জয়নাল আবেদীন কমার্স কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরই মধ্যে ২০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে।

ওই সভায় উপস্থিত অন্য ক্লিনিক মালিকরাও তাদের সাধ্য অনুযায়ী একাধিক শয্যার করোনা ইউনিট চালু করার অঙ্গীকার করেন। সভায় করোনা ভাইরাস এবং কিভাবে তার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব তা নিয়ে উপস্থিত বেসরকারি হসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদেরকে ধারণা দেওয়া হয়।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, ওই হাসপাতালের পাঁচতলায় নারী ও পুরুষের জন্য সাতটি করে ১৪ শয্যার পৃথক করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। শজিমেকের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের চিকিৎসক ওই ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন।

বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় বাংলানিউজকে জানান, ওই হাসপাতালের মূল ভবনের পেছনে দোতলা ভবনে করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে। সেখানে ১০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।  

বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে প্রতিটি জেলায় অন্তত একশ শয্যার হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, যেহেতু বগুড়ায়  কোনো হাসপাতালেই এককভাবে ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা সম্ভব নয় সে কারণে দু’টি হাসপাতাল মিলে তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জেলার শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ এবং শহরে ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরও ৬০ শয্যার আইসোলেটেড ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
কেইউএ/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।