শনিবার (২১ মার্চ) এ নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুতই।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোর্শেদ রশীদের সই করা নোটিশে বলা হয়, অত্র স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশংকাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিধায় হাসপাতালে সেবা গ্রহণের জন্য আগত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর জন্য প্রতিরোধ কর্মসূচি হিসাবে হাসপাতালে কর্মরত এবং সেবা কাজের সহিত জড়িত সকলের মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। সম্পদের স্বল্পতার জন্য হাসপাতালের তরফ হতে সকলকে মাস্ক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সকলকে নিজ উদ্যোগে মাস্ক ব্যবহারের অনুরোধ করা হলো।
নোটিশটি ছড়িয়ে পড়ার পর জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষমতা যে প্রতিষ্ঠানের নেই, সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা করোনা আক্রান্তদের কী চিকিৎসা দেবেন? রোগীর সংস্পর্শে এসে তো তারাও আক্রান্ত হবেন।
অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের সংকটের সমাধান হয়ে গেছে। সবাইকে নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (২১ মার্চ) নোটিশের বিষয়ে কথা হয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোর্শেদ রশীদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসক-নার্স-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীসহ অন্যদের মাঝে বিলি করা হচ্ছে মাস্কসহ গাউনসেট। করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতার জন্য গত দুদিন আগে একটু সঙ্কট থাকায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল।
পরিচালক দুদিন আগের কথা বললেও নোটিশে তারিখ দেখা গেছে ২১/০৩,২০২০।
পরিচালক আরও বলেন, এখন সংকট নেই। সবার মধ্যে মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। আমাদের হাতে মাস্ক, গাউন হ্যান্ড গ্লাভস ও মাথার মগ সবই আছে। ডাক্তারসহ এগারোশো সব কর্মচারীকে শিফটিং ভিত্তিতে তাদের কাছে সেগুলো বিলি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এজেডএস/এইচএডি/এজে