মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) করোনা মোকাবিলায় লালমনিরহাটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায়।
সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যুদ্ধ করছেন বিশ্বের চিকিৎসকরা।
জেলার ৫টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার মানুষদের করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৭৪৫ জন কর্মী। যার মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৮০ জন ও নার্স ১৬০ জন। এছাড়াও তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতার জন্য রয়েছেন ১৩৪ জন বিভিন্ন পদের স্টাফ, মাঠ পর্যয়ে স্বাস্থ্য সহকারী/পরিদর্শক ১৯৫ জন ও কমিউনিটি হেল্থ প্রোভাইডার ১৭৬ জন। এসব কর্মীকে কয়েকটি স্তরে বিভাজন করে টিমওয়ার্ক হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দহগ্রাম ১০ শয্যা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল।
হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের অতিরিক্ত রোগীর ভিড় সামলাতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে অস্থায়ী করোনা ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। লালমনিরহাট শহরের জন্য রেলওয়ে হাসপাতালের ১৬টি বেড এবং সদর হাসপাতালের ৭টি এবং বাকি ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ৪/৫টি করে আইসোলেশন বেড বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে।
করোনা আক্রান্ত রোগী বিপদজনক পর্যায়ে গেলে তার সেবা প্রদান করতে আইসিইউ বেড প্রয়োজন হবে, যা এ জেলায় একটিও নেই। এমন পর্যয়ে গেলে সেই সব রোগীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, করোনা রোগীর সেবা দিতে চিকিৎসক টিমের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের যথেষ্ট সংকট রয়েছে। মজুদ থাকা এসব সরঞ্জাম মাত্র দুই দিন ব্যবহার হলেই শেষ হবে। তৃতীয় দিনে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে না, এসব সরঞ্জামে। তাই চিকিৎসা সরঞ্জাম চেয়ে মন্ত্রণালয়ে জরুরি চাহিদা পাঠানো হচ্ছে।
এছাড়াও রোগী পরিবহনে হালকা চাপ সামলানোর মত অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তবে চাপ বেড়ে গেলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বা ব্যক্তিগত গাড়ি রিকুইজিশন নেওয়া হবে। সব তৈরি হলেও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তার সরঞ্জাম না পেলে চিকিৎসা দেওয়া অসম্ভব হবে। তাই দ্রুত চিকিৎসা সরঞ্জাম (পিপিই) প্রদানে সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে সাহস ও ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসা বিভাগকে সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
আরএ