এদিকে মৃত ওই রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ পোষণ করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর দেড়টায় ওই রোগী মারা যায় বলে বাংলানিউজকে জানান খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ।
ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ওই রোগীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী তথ্য নেন। এই হাসপাতালে আসার আগে ওই রোগী ঢাকার মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। একই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত একজন রোগী মারা গিয়েছিল। কিন্তু ওই রোগী এখানে ভর্তির সময় সেই তথ্য গোপন করেন। তা না হলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হতো।
‘ওই রোগীকে মডার্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছিল। কিন্তু তিনি তা মানেননি এবং তথ্য গোপন করে এখানে ভর্তি হন। তার কারণে ঝুঁকি বেড়ে গেলো। ’
মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কি-না তা পরীক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ঢাকায় আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া ১৫-২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। ৯০ শতাংশের সন্দেহ ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পয়েন্ট ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ঢাকার মডার্ন হাসপাতাল থেকে থাইরয়েড অপারেশন করে পোস্ট অপারেটিভ চিকিৎসার জন্য এক রোগী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসে। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। প্রথমে সবাই ভেবেছিল অপারেশনের কারণে হয়তো এ রকম হচ্ছে। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এমআরএম/এইচএডি