রোববার (২৯ মার্চ) বিকেলে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ পুরো হাসপাতাল ফাঁকা। শয্যাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।
হাসপাতালটির আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) হারুন-অর-রশিদ বাংলানিউজকে জানান, গাইবান্ধায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত চার জনের মধ্যে তিন জনকে শুক্রবার (২৭ মার্চ) সদর হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ খবর জানার পর থেকেই ভাইরাস আক্রান্তের শঙ্কায় হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হচ্ছেন না। যারা আগে ভর্তি ছিলেন, তারা ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, শনিবার (২৮ মার্চ) হাসপাতালের তিনজন রোগী নিয়ম মাফিক ছাড়পত্র নিলেও ১৭ জন রোগী কাউকে না জানিয়ে পালিয়ে যান। এখন হাসপাতাল প্রায় রোগী শূন্য।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০০ শয্যার এ হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসতেন চার থেকে পাঁচ শতাধিক রোগী। বর্তমানে আউটডোরে আসছেন মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন।
এছাড়া জরুরি বিভাগে রোগী থাকতো ৬০০ থেকে ৭০০। এখন সেটা নেমে এসেছে ১০ থেকে ১৫ জনে। চলতি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেও হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ২০০ থেকে ২১০ জন। অথচ রোববার দুপুর পর্যন্ত রোগী ছিল মাত্র ৩০ জন। এর মধ্যে পালিয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এসআরএস