অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টা ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ১৭২ জনের। এ পর্যন্ত ৭৩৮ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার তাহসিন নুর অমি বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিমানবন্দরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি প্রবাসী বাড়ি ফিরেছেন। বাকিদের কোনো তথ্য না থাকায় তাদের হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। ইমিগ্রেশন থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সে ঠিকানায় তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
কোয়ারেন্টিনে থাকা সবাইকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সাদা পোশাকেও পুলিশ কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করছে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরও তাদের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের যথাযথভাবে হোম কোয়ারেন্টিন মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনের সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত ফেনীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানকার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন পালনে বাধ্য করা হচ্ছে।
এদিকে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। তারা বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা এবং সব জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/