জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোলা সদর ১০০ শয্যার হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীদের চাপ অনেক কম। যেখানে প্রতিদিন রোগীদের চাপে হিমশিম খেতে হতো চিকিৎসক ও নার্সদের, সেখানে এখন রোগীদের চাপ নেই বললেই চলে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ড, স্কেনো, পুরুষ ও মহিলা সার্জারি, মেডিসিন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বেড (শয্যা) রোগী শূন্য। দু’একটি বেডে রোগী ও তাদের স্বজনরা অবস্থান করছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ৪ জন, শিশু ওয়ার্ডে ৫টি রোগীকে দেখা গেছে চিকিৎসা নিতে। অন্য ওয়ার্ডেও যেন একই চিত্র। জরুরি রোগী ছাড়া কেউ হাসপাতালে আসতে চান না।
শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত একজন স্টাফ নার্স বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার শিশু রোগীর চাপ অনেক কম। এছাড়া করোনা আতঙ্কে গত এক সপ্তাহ ধরে অনেক রোগীই হাসপাতালে আসছেন না।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারজানা খান জুতি বাংলানিউজকে বলেন, কোভিড-১৯ আতঙ্কের কারণে রোগীদের চাপ কম। হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশির রোগী নেই বললেই চলে। অন্য রোগীও কম।
তিনি আরও বলেন, কোনো রোগীর যদি করোনার প্রাথমিক কোনো উপসর্গ সন্দেহ বলে মনে হয়, তাহলে তাদের তাৎক্ষণিক করোনা ইউনিটে ভর্তি করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হাসপাতালটির আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. তৈয়বুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ৭২ জন। একদিকে করোনার ঝুঁকি, অন্যদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় রোগীর চাপ অনেক কম। হাসপাতালের আউটডোরের চিত্র একই অবস্থা। সেখানেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ভিড় নেই। তারপরও যেসব রোগী আসছেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
এদিকে হাসপাতালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গোল বৃত্ত এঁকে দেওয়া হয়েছে। জীবাণুনাশক স্পে ছিটাচ্ছে রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এসআরএস