তবে দেশের অন্য জেলায় করোনা সংক্রমণ দেখা দিলেও দিনাজপুরে এখন পর্যন্ত কারও শরীরে কোভিড-১৯ এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে দিনাজপুর স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে সর্বোচ্চ ৩৫৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টোগ্রামসহ অন্য জেলা থেকে আগত। এছাড়া ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৬৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। দিনাজপুর সদরে নতুন ৩৬ জনসহ মোট ১৭৩ জন, বিরলে নতুন ১৩ জনসহ ৪৬ জন, বোচাগঞ্জে নতুন ৭ জনসহ ৫২ জন, কাহারোলে আগের ৫৬ জন, বীরগঞ্জে নতুন ২ জনসহ মোট ৬১ জন, খানসামায় আগের ১৭ জন, চিরিরবন্দরে আগের ৩১ জন, পার্বতীপুরে নতুন ২৮৫ জনসহ মোট ৩৪৮ জন, ফুলবাড়ীতে নতুন ১৫ জনসহ মোট ১০৪ জন, বিরামপুরে আগের ৪৭৪ জন, নবাবগঞ্জে আগের ৩০ জন, হাকিমপুরে আগের ১১ জন ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় আগের ২২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়াও জেলায় ইতোমধ্যে ৪ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে জানান, রোববারদুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা নিজ এলাকায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগতদের তালিকা দিয়েছেন। এর মধ্যে সদরের ২ নম্বর সুন্দরবন ইউনিয়নের ২৯ জন, ৫ নম্বর শশরা ইউনিয়নের ৩৭ জন, ৬ নম্বর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৯৪ জন ও ৯নং আস্করপুর ইউনিয়নের ৩৩ জন রয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার সব ইউনিয়নে বিভিন্ন জেলা থেকে আগতদের তালিকা হাতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও জেলায় ৩৩ জন সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষা করে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
এসআরএস