ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সপ্তাহের মধ্যেই করোনা চিকিৎসা শুরু হবে বসুন্ধরা হাসপাতালে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
সপ্তাহের মধ্যেই করোনা চিকিৎসা শুরু হবে বসুন্ধরা হাসপাতালে

ঢাকা: রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় অস্থায়ীভাবে নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষ দিকে অর্থাৎ ২০ তারিখের পরে ওই হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু হবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও আইসিসিবি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে সংস্থাপনের কাজ। সব মালামাল চলে এসেছে।

শ্রমিকরাও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। হাসপাতালে নার্স ও ডাক্তারদের বসার জন্য চেম্বারের মতো ছোট ছোট অস্থায়ী কক্ষ তৈরির কাজ চলছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে রোগীর বিছানা, অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থাও।

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যা যা দরকার সব মালামাল এসেছে। বর্তমানে সংস্থাপনের কাজ চলছে। দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে সংস্থাপনের কাজ। আগামী ২০ এপ্রিল হাসপাতাল শুরু হবে বলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন। অথাৎ ২০ তারিখের দিকে রোগী সেবা কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

তিনি বলেন, আইসিসিবি’র প্রকৌশল বিভাগও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ট্রেড সেন্টারটিতে হাসপাতালের জন্য যেসব কাজ করা দরকার, তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সম্প্রতি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
আইসিসিবিতে দ্রুতগতিতে চলছে সংস্থাপনের কাজ, ছবি: জিএম মুজিবুরপ্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে পরবর্তীতে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।  

প্রাথমিকভাবে এখানে দুই হাজার ৭১ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশে এটিই হবে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মোল্লা এর আগে সাংবাদিকদের বলেন, এক্সপো ট্রেড সেন্টার এবং আরও তিনটি কনভেনশন হলে মোট দুই হাজার আইসোলেশন বেড স্থাপন করা হবে। ৪৬ হাজার স্কয়ার ফুটের কনভেনশন হলটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে ৭১টি আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) বেড স্থাপন করা হবে। আশা করছি, ১৫ দিনের মধ্যে এখানে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।