শনিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ সচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে করোনা বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সংশোধিত নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা আংশিক সংশোধন ক্রমে পুনরায় দেওয়া হলো।
এ চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা (সংশোধিত): অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙ্গিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার/থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।
অফিস পরিবহনসমূহ অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পারিক ন্যূনতম তিন ফুট নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ও সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন পরত (স্তর) বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক যা দিয়ে মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার (One time) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিস্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
যাত্রার আগে ও যাত্রাকালীন পথে বার বার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার সময় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব (নূন্যতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে। অফিসসমূহে কাজ করার সময় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
এছাড়া কর্মকর্তা/কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলছে কি না তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিম এর মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
পিএস/আরআইএস