সোমবার (১ জুন) দুপুরে বাংলানিউজকে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শরীর উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি সুস্থ হয়ে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়বো। কারণ যেভাবে লোক ঠকানো হচ্ছে। একটা ইনজেকশনের দাম ১০ হাজার টাকা। আমাকে বলছে আপনারতো টাকা লাগবে না ইনজেকশন নিতে। আমি বলছি, ভালোইতো বাটপারি শুরু করছো। আমাকে বিনা পয়সায় দেবা আর লোকজনের গলা কাটবা। জনগণ প্রতারণার শিকার হবে।
কোনো কোম্পানির ইনজেকশনের দাম দশ হাজার টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকগুলো কোম্পানি আছে। কয়টার আর নাম বলবো। এক লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানো কার পক্ষে সম্ভব। ডা. জাফরুল্লাহ কি এক লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারবে? আমি যদি এত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান করা উচিৎ, এত টাকা কোথায় পাইলাম। আমি যদি ওই চিকিৎসা গ্রহণ করি, তাহলে আমার নামে দুদকের অনুসন্ধান করা উচিৎ। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিৎ।
তাহলে কি করা উচিৎ এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওই ওষুধতো দেখছি সোনার চেয়েও বেশি দাম। সরকার যদি ওষুধের মূল্য স্থির না করে, তাহলে যখন কোনো ওষুধের নাম বলা হবে, তখনই তার দামও বলতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে ওষুধের দাম। তাহলে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠবে কেনো এত টাকা দাম? এটা না করলে মানুষ দরিদ্র হয়ে যাবে। বেঁচে থেকে তখন লাভ কি, টাকার অভাবে আমি যদি খাইতেই না পারি, আমার ছেলে-মেয়ে খাবার না পায়। ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে যাই। হাসপাতালে কি লাগে চিকিৎসা দিতে, অক্সিজেন লাগে। অক্সিজেনের দাম কত? এসব বিষয়ে গণমাধ্যম এবং জনসাধারণকে প্রশ্ন করা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২০
আরকেআর/ওএইচ/